Monday, 18 January 2021

১০টি মিথ্যা - ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)

 মিথ্যা নং ৩ : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ-র জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক (এনআরসি)-র সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ পৃথক এবং বিরোধীরা মিথ্যাভাবে দুটিকে যুক্ত করার চেষ্টা করছে।

সত্য : সিএএ এবং এনআরসি একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বিজেপি'র পরিকল্পনা প্রথমে সিএএ বাস্তবায়ন, যা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান এই তিনটি দেশ থেকে আসা সমস্ত অমুসলিমকে নাগরিকত্বের অধিকার দেবে। তারপরে এনআরসি দিয়ে "অনুপ্রবেশকারী" সনাক্ত করবে। অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য কী? কেবলমাত্র মুসলমানরা সিএএ-তে শরণার্থী হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করে না এবং তাই তারা অনুপ্রবেশকারী। নিম্নলিখিত উদাহরণগুলিতে দেখা যায় যে দুটোর মধ্যে মারাত্মক সংযোগ বিজেপি নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছে :

এপ্রিল ২০১৯-এ অমিত শাহ বলেছিলেন, "প্রথমে সিএবি আসবে। সমস্ত শরণার্থী নাগরিকত্ব পাবেন। তারপরেই এনআরসি আসবে। এ জন্যে শরণার্থীদের দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়, অর্থাৎ দুশ্চিন্তার বিষয় কেবল অনুপ্রবেশকারীদের। কালানুক্রম বুঝুন - সিএবি আসবে এবং তারপরে এনআরসি। এনআরসি কেবল বাংলার জন্য নয়, এটি পুরো দেশের জন্য" (বিজেপি'র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিডিও)।

৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ : অমিত শাহ সংসদে বলেছিলেন যে সিএএ পাসের পর একটি দেশব্যাপী এনআরসি হবে। লোকসভায় সিএএ নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন তিনি বলেছিলেন, "আমরা দেশজুড়ে এনআরসি নিয়ে আসব। একজনও অনুপ্রবেশকারীকে রেহাই দেওয়া হবে না।"

১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ : বিজেপি'র কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডা জানিয়েছিলেন যে সিএএ বাস্তবায়িত হবে এবং "এগিয়ে গিয়ে এনআরসিও আনা হবে।" তিনি আরও বলেছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে এবং চলবে। নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন কার্যকর করা হবে, ভবিষ্যতে এনআরসিও হবে।"

না, বিরোধী দলগুলো সিএএ এবং এনআরসি'কে সংযুক্ত করেনি, বিজেপি'র কলঙ্কিত পরিকল্পনাই এই দুটির যোগসূত্র।

No comments:

Post a Comment