Thursday, 6 April 2017

শ্রীমদভগবাদগীতা ও বর্ণবৈষম্য

শমঃ,দমঃ,তপঃ শৌচম্‌ ক্ষান্তি আর্জবম্‌ এব চ ।
জ্ঞানম্‌ বিজ্ঞানম্‌ অস্তিকম্‌ ব্রহ্ম কর্ম সভাবজম্‌ ।।(১৮:৪২)
অর্থ - শম, দম, তপ, শৌচ, ক্ষান্তি, সরলতা, জ্ঞান, বিজ্ঞান ও আস্তিক্য এগুলো ব্রাহ্মনদের স্বভাবজাত কর্ম।

শৌর্যম্‌ তেজঃ ধৃতিঃ দাক্ষ্যম্‌ যুদ্ধে চ অপি অপলায়নম্‌ ।
আনম্‌ ঈশ্বরম্‌ ভাবঃ চ ক্ষাত্রম্‌ কর্ম স্বভবজম্‌ ।।(১৮:৪৩)
অর্থ - শৌর্য, তেজ, ধৃতি, দক্ষ্যতা, যুদ্ধে অপরাম্মুখতা, দানশীলতা ও শাসন ক্ষমতা এইগুলি ক্ষত্রিয়ের স্বভাবজাত কর্ম  ।

কৃষি গোরক্ষা বানিজ্যম্‌ বৈশ্য কর্ম স্বভাবজম ।
পরিচর্যা আত্মকম্‌ কর্মঃ শুদ্রস্য অপি স্বভাবজম্‌ ।।(১৮:৪৪)
অর্থ - কৃষি, গোরক্ষা ও বানিজ্য এইগুলো বৈশ্যের স্বভাবজাত কর্ম । পরিচর্যা শুদ্রের স্বভাবজাত কর্ম ।

এই পরিচর্যাত্মাক কর্মের অর্থ হলো সেবা করা।উচ্চ তিন বর্ণের মানুষদের ক্রমাগত সেবা করা । মানে যাকে বলে জন্মদাস এবং এটা নাকি আবার স্বভাবজাত । দাসগিরি করা কিভাবে একটি গোত্রের সকল মানুষের স্বভাব হয়ে গেল তা বোঝা গেল না । ঠিক একই ভাবে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা কিভাবে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদেরই স্বভাব কর্ম হয়ে গেল তাও বোঝা কঠিন । কোন শূদ্র কখনো জ্ঞান চর্চা করতে পারবে না, দেশ শাসন করতে পারবে না, কারণ তার জন্ম একটা শূদ্র পরিবারে । মোটকথা ব্রাহ্মণ আর ক্ষত্রিয় মিলে খাবে-দাবে, ভোগ করবে, দেশ শাসন করবে, বৈশ্যরা করবে গরু পালন আর চাষবাস, শূদ্ররা হবে জন্মোদাস । কি চমৎকার ভগবানের বাণী !


https://blog.mukto-mona.com/2014/02/04/39541/

No comments:

Post a Comment