"ধর্মীয় দুঃখ-কষ্ট একাধারে বাস্তব দুঃখ-কষ্টের প্রকাশ ও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । ধর্ম নিপীড়িত জীবের দীর্ঘশ্বাস, হৃদয়হীন পৃথিবীর সহৃদয়তার কাহিনী, যেন ভৌতিক জীবনের আত্মা, মানুষের জীবনে ধর্ম হচ্ছে আফিম ।"
" ... কোপারনিকাস অথবা একলব্যকে যে নিগ্রহ করা হয়েছিল, মার্কসবাদ তার জন্য ধর্মকেই দায়ী করে না । তার কারণ তৎকালীন সামাজিক শক্তি ও গতিবিধি ধর্মের ভাষাতেই প্রতিফলিত হয়েছিল, কারণ লিপিবদ্ধ ইতিহাসের গোটাটাতেই ধর্মই ছিল প্রধান মতাদর্শ । ধর্ম যতদিন প্রধান মতাদর্শ হয়ে থাকে, ততদিন প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল আদর্শ, শাসকশ্রেণীর কায়েমী স্বার্থ ও শোষিত শ্রেণীর দাবি সমানভাবে ধর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের মনে নিজেদের উপস্থিত করে । তাই মার্কসবাদ ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনের প্রগতিশীল উপাদানকেও স্বীকার করে, যেমন সুফি বা ভক্তি আন্দোলন, কিন্তু একইসঙ্গে তাদের সীমাবদ্ধতাকেও দেখিয়ে দেয়, কারণ কেবলমাত্র ধর্মীয় ঘেরাটোপের মধ্যে থেকে তারা সমাজের কাঙ্খিত পরিবর্তন আনতে পারবে না ।"
একটি নির্দিষ্ট সময়ে যখন সুনির্দিষ্ট শ্রেণী সংগ্রাম ধর্মের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়, তখন অন্য সকল শাসকশ্রেণীর মত সেই ধর্মই শোষক শ্রেণীর হাতিয়ার ও যুক্তিতে পরিণত হয় । যেমন লেনিন বলেছেন, "ধর্ম হলো এক ধরণের আত্মিক শোষণ যা সর্বত্র ব্যাপকতম জনসাধারণের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, যারা অন্যের সুবিধার জন্য শুধু খেটেই মরে এবং দারিদ্র্য ও বিচ্ছিন্নতায় নিষ্পেষিত হয় । শোষকদের বিরুদ্ধে শোষিতদের লড়াই করার অক্ষমতা থেকে তৈরি হয় কবরের পর এক উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষা, ঠিক যেমন প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বর্বরেরা ভগবান, শয়তান, জাদু ইত্যাদির উপর আস্থা রেখেছিল । যে মানুষ সারা জীবন ধরে পরিশ্রম করছে আর কষ্ট করছে ধর্ম তাকে শেখাচ্ছে এই মর্ত্যে যেন সে নম্র হয়, ধৈর্যশীল হয় যাতে সে পরবর্তীকালে স্বর্গে যাবার পুরস্কার পায় এবং যারা অন্যের শ্রমের উপর বেঁচে থাকে, ধর্ম তাদেরকে শেখায় এই মর্ত্যে তুমি দয়া দেখাও, ফলে শোষক হিসাবে টিকে থাকার সস্তা যুক্তি যোগায় এবং স্বর্গীয় যুগের জন্য ঠিকঠাক দামের টিকিট বিক্রি করে ।"
"মার্কসবাদ ধর্মকেই আক্রমণ করে না । মার্কসবাদ আক্রমণ করে সেই পরিস্থিতিকে যা ধর্মের উত্থানে সাহায্য করে এবং সেই অবস্থাকে যা জনগণের উপর ধর্মের আধিপত্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে ।যেহেতু ধর্ম নিজে কোন বস্তু নয়, মার্কসবাদ সেই বস্তুর আমূল বদল চায়, যা ধর্মকে শ্রেণী শোষণের স্থায়ী হাতিয়ারে পরিণত করে ।"
" ... কোপারনিকাস অথবা একলব্যকে যে নিগ্রহ করা হয়েছিল, মার্কসবাদ তার জন্য ধর্মকেই দায়ী করে না । তার কারণ তৎকালীন সামাজিক শক্তি ও গতিবিধি ধর্মের ভাষাতেই প্রতিফলিত হয়েছিল, কারণ লিপিবদ্ধ ইতিহাসের গোটাটাতেই ধর্মই ছিল প্রধান মতাদর্শ । ধর্ম যতদিন প্রধান মতাদর্শ হয়ে থাকে, ততদিন প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল আদর্শ, শাসকশ্রেণীর কায়েমী স্বার্থ ও শোষিত শ্রেণীর দাবি সমানভাবে ধর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের মনে নিজেদের উপস্থিত করে । তাই মার্কসবাদ ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনের প্রগতিশীল উপাদানকেও স্বীকার করে, যেমন সুফি বা ভক্তি আন্দোলন, কিন্তু একইসঙ্গে তাদের সীমাবদ্ধতাকেও দেখিয়ে দেয়, কারণ কেবলমাত্র ধর্মীয় ঘেরাটোপের মধ্যে থেকে তারা সমাজের কাঙ্খিত পরিবর্তন আনতে পারবে না ।"
একটি নির্দিষ্ট সময়ে যখন সুনির্দিষ্ট শ্রেণী সংগ্রাম ধর্মের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়, তখন অন্য সকল শাসকশ্রেণীর মত সেই ধর্মই শোষক শ্রেণীর হাতিয়ার ও যুক্তিতে পরিণত হয় । যেমন লেনিন বলেছেন, "ধর্ম হলো এক ধরণের আত্মিক শোষণ যা সর্বত্র ব্যাপকতম জনসাধারণের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, যারা অন্যের সুবিধার জন্য শুধু খেটেই মরে এবং দারিদ্র্য ও বিচ্ছিন্নতায় নিষ্পেষিত হয় । শোষকদের বিরুদ্ধে শোষিতদের লড়াই করার অক্ষমতা থেকে তৈরি হয় কবরের পর এক উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষা, ঠিক যেমন প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বর্বরেরা ভগবান, শয়তান, জাদু ইত্যাদির উপর আস্থা রেখেছিল । যে মানুষ সারা জীবন ধরে পরিশ্রম করছে আর কষ্ট করছে ধর্ম তাকে শেখাচ্ছে এই মর্ত্যে যেন সে নম্র হয়, ধৈর্যশীল হয় যাতে সে পরবর্তীকালে স্বর্গে যাবার পুরস্কার পায় এবং যারা অন্যের শ্রমের উপর বেঁচে থাকে, ধর্ম তাদেরকে শেখায় এই মর্ত্যে তুমি দয়া দেখাও, ফলে শোষক হিসাবে টিকে থাকার সস্তা যুক্তি যোগায় এবং স্বর্গীয় যুগের জন্য ঠিকঠাক দামের টিকিট বিক্রি করে ।"
"মার্কসবাদ ধর্মকেই আক্রমণ করে না । মার্কসবাদ আক্রমণ করে সেই পরিস্থিতিকে যা ধর্মের উত্থানে সাহায্য করে এবং সেই অবস্থাকে যা জনগণের উপর ধর্মের আধিপত্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে ।যেহেতু ধর্ম নিজে কোন বস্তু নয়, মার্কসবাদ সেই বস্তুর আমূল বদল চায়, যা ধর্মকে শ্রেণী শোষণের স্থায়ী হাতিয়ারে পরিণত করে ।"
No comments:
Post a Comment