"দুনিয়ার অন্য নানা দেশের মতোই ভারতেও গণতন্ত্র তার সম্পূর্ণ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি: 'জনগণের, জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য' শাসনের লক্ষ্য পূরণে ঘাটতি ভারতেও থেকে গিয়েছে । "
"ষাট বছরের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ভারত গণতান্ত্রিক দেশগুলির মধ্যে অগ্রণী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । দক্ষিণ এশিয়া সহ দুনিয়ার অনেক দেশেই যেমন সামরিক বাহিনী এসে নির্বাচিত সরকারকে গদিচ্যুত করে ক্ষমতার দখল নিয়েছে, ভারতে তা হয়নি । বহু ভাষা, ধর্ম এবং জাতিগোষ্ঠী সমন্বিত একটি দেশে গণতন্ত্র কী ভাবে বিকশিত হতে পারে, ভারত তা প্রত্যয়ের সঙ্গে দেখিয়ে দিয়েছে । "
বি আর আম্বেডকর বলেছিলেন, 'শিক্ষিত করা, বিক্ষুব্ধ করা এবং সংগঠিত করা'র শক্তি সম্পর্কে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই, বরং সেই সম্ভাবনাগুলি চরিতার্থ করতে আমাদের যথেষ্ট তৎপর হওয়ার কারণ আছে ।"
"ভারতে সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা প্রথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, এটা গর্ব করার ব্যাপার । রেডিয় এবং টেলিভিশনেও বহু স্টেশন ও চ্যানেল কাজ করছে, বিশেষ করে বহু টিভি চ্যানেলে চব্বিশ ঘন্টা সংবাদ পরিবেশন করা হয়, বিভিন্ন মতের বিতর্কের মধ্য দিয়ে সংবাদের পর্যালোচনা করা হয় । একটা স্তরে এটা অবশ্যই গণতান্ত্রিক পরিসরের বিরাট সাফল্য এবং অবাধ বহুদলীয় নির্বাচনের মতো অন্য বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপের উপরেও এর একটা সুপ্রভাব থাকে ।
সংবাদমাধ্যমের ব্যর্থতার দিকটাও মনে রাখা দরকার । নাগরিকদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে যে সব অন্যায় এবং অকুশলতা আছে, সংবাদমাধ্যমে সেগুলি যথেষ্ট গুরুত্ব পায় না । সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনযাত্রার সংকট এবং সমস্যাগুলি দূর করার কাজে একটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে, এ-রকম গভীর এবং উৎকৃষ্ট সাংবাদিকতার নমুনা কমই দেখা যায়; সংবাদমাধ্যম সাধারণত সমাজের সৌভাগ্যবান এবং সফল অংশের উজ্জ্বল ছবি দেখাতেই ব্যস্ত থাকে । কিছু প্রশংসনীয় ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু তা ব্যতিক্রমমাত্র ।"
"আয়বৃদ্ধির সামাজিক সুফল এখনও অত্যন্ত সীমিত । সমস্যাটা শুধু এই নয় যে, সাম্প্রতিক কালে আয়ের বৈষম্য রীতিমত বেড়েছে; চিনে যখন প্রকৃত মজুরি দ্রুত বেড়েছে এবং তার ফলে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানে রীতিমত উন্নতি হয়েছে, ভারতে তখন মজুরি কার্যত একই জায়গায় আটকে আছে । পাশাপাশি, আয়বৃদ্ধির ফলে সরকারি রাজস্ব বাড়লেও সেই বাড়তি সম্পদ সামাজিক এবং বস্তুগত পরিকাঠামোর উন্নয়নে যথেষ্ট কাজে লাগানো হয়নি, এ ব্যাপারেও চিনের তুলনায় ভারত অনেক পিছিয়ে ।শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পানীয় জল বা নিকাশী ব্যবস্থার মতো অপরিহার্য সামাজিক পরিষেবাগুলির সরবারহেও বিপুল ঘাটতি আছে, বহু মানুষ এখনও এই সব পরিষেবা থেকে সম্পূর্ণত বা বহুলাংশে বঞ্চিত ।"
"কুড়ি বছর আগে দক্ষিন এশিয়ার ছ'টি দেশের (ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান) মধ্যে সামাজিক সূচকগুলির তালিকায় ভারত সাধারণত দু'নম্বর জায়গাটিতে থাকত, এখন তার স্থান বেশিরভাগ ব্যাপারেই নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় - একমাত্র পাকিস্তানের ওপরে । ভারত মাথাপিছু আয়ের সিঁড়িটিতে ক্রমশ উপরে উঠছে, আর সামাজিক অর্জনের সিঁড়িটিতে ক্রমশ নীচে নামছে । "
"স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সেই সংগ্রামের নায়করা বলেছিলেন, স্বাধীন ভারতের লক্ষ্য হবে উন্নয়ন ও সমতা । সেই পরিপ্রেক্ষিতে, মানতেই হবে, স্বাধীন ভারতের ব্যর্থতা বিরাট । ব্যর্থতা শুধু এই নয় যে, আয়বৃদ্ধির সুফল বন্টনে বিরাট বৈষম্য ঘটেছে; উন্নয়নের ফলে অর্জিত সম্পদ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের বিপুল সামাজিক বঞ্চনা দূর করার কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রীতিমত ব্যর্থতা দেখা গেছে ।"
"স্বাধীনতার সময় ভারতে 'রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক গণতন্ত্র' প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছিল । কিছুটা অতিসরলিকরণের ঝুঁকি নিয়ে বলা যায়, দুটি ক্ষেত্রে ভারত এই লক্ষ্য পূরণে বিশেষ ভাবে ব্যর্থ : (১) যাঁরা সুবিধাভোগী, তাঁদের সঙ্গে অবশিষ্ট মানুষের অবস্থায় এখনও বিপুল বৈষম্য এবং (২) ভারতীয় অর্থনীতি ও সমাজ যে ভাবে সংগঠিত, তাতে দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা এখন অত্যন্ত কম ।"
"সাম্প্রতিক দশকগুলিতে, বিশেষত গত বছর দশেকে ভারতের দ্রুত আয়বৃদ্ধি নিয়ে সঙ্গত কারণেই একটা উচ্ছ্বাস তৈরী হয়েছে । 'মধ্যবিত্ত শ্রেণি'র (প্রচলিত অর্থে, আয়ের দিক থেকে উপরের দিকের কুড়ি শতাংশ মানুষ) জীবন-মানের যতটা উন্নতি হয়েছে, সেটা আগের দশকগুলিতে ভাবা যায়নি । কিন্তু অন্য অনেক ধরনের মানুষের - যেমন রিকশা-চালক, বাড়ির কাজের লোক বা ইটভাটার শ্রমিকের - ক্ষেত্রে গল্পটা অনেক জটিল । এ ধরনের বা এর চেয়েও কম সুবিধাভোগী মানুষের জীবনে আর্থিক সংস্কারের পর্বটিতে উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি । তাঁদের অবস্থায় কোনও উন্নতি হয়নি এমন নয়, কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে অত্যন্ত ধীরগতিতে এবং তার ফলে তাঁদের চরম দুর্দশা বিশেষ পাল্টায়নি ।"
"অশোক কোতোয়াল, ভরত রামস্বামী এবং ইউলিমা ওয়াধবা (২০১১) প্রণীত এক সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে এই বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে । ১৯৮৩ এবং ২০০৪-০৫, এই দুটি বছরের এনএসএস সমীক্ষার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তাঁরা এই গবেষণাটি করেছেন । তাঁদের হিসেবে, এই সময়ের মধ্যে গ্রাম প শহর মিলিয়ে দারিদ্রের মাথা-গুনতি অনুপাত ৪৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশ । তাঁরা দেখিয়েছেন, দারিদ্র রেখার অঙ্কটি যদি দ্বিগুন করা হয় (তারপরেও কিন্তু অঙ্কটি কমই থাকবে), তা হলে ১৯৮৩ সালে দারিদ্রের অনুপাত ছিল ৮৬ শতাংশ এবং ২০০৪-০৫ সালে ৮০ শতাংশ । কুড়ি বছরে এই উন্নতি অকিঞ্চিৎকর, বিশেষ করে দারিদ্র হ্রাসের সরকারি পরিসংখ্যানের তুলনায় । আরও সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে, গত দুই দশকে সামগ্রিকভাবে উন্নতশীল দেশগুলির তুলনায় ভারতে দারিদ্রের মাত্রা হ্রাসের গতি অনেক কম ছিল - ভারতে আয়বৃদ্ধির গতি উন্নতিশীল দুনিয়ার গড় আয়বৃদ্ধির চেয়ে অনেকটা বেশি হওয়া সত্ত্বেও ।"
"ষাট বছরের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ভারত গণতান্ত্রিক দেশগুলির মধ্যে অগ্রণী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । দক্ষিণ এশিয়া সহ দুনিয়ার অনেক দেশেই যেমন সামরিক বাহিনী এসে নির্বাচিত সরকারকে গদিচ্যুত করে ক্ষমতার দখল নিয়েছে, ভারতে তা হয়নি । বহু ভাষা, ধর্ম এবং জাতিগোষ্ঠী সমন্বিত একটি দেশে গণতন্ত্র কী ভাবে বিকশিত হতে পারে, ভারত তা প্রত্যয়ের সঙ্গে দেখিয়ে দিয়েছে । "
বি আর আম্বেডকর বলেছিলেন, 'শিক্ষিত করা, বিক্ষুব্ধ করা এবং সংগঠিত করা'র শক্তি সম্পর্কে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই, বরং সেই সম্ভাবনাগুলি চরিতার্থ করতে আমাদের যথেষ্ট তৎপর হওয়ার কারণ আছে ।"
"ভারতে সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা প্রথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, এটা গর্ব করার ব্যাপার । রেডিয় এবং টেলিভিশনেও বহু স্টেশন ও চ্যানেল কাজ করছে, বিশেষ করে বহু টিভি চ্যানেলে চব্বিশ ঘন্টা সংবাদ পরিবেশন করা হয়, বিভিন্ন মতের বিতর্কের মধ্য দিয়ে সংবাদের পর্যালোচনা করা হয় । একটা স্তরে এটা অবশ্যই গণতান্ত্রিক পরিসরের বিরাট সাফল্য এবং অবাধ বহুদলীয় নির্বাচনের মতো অন্য বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপের উপরেও এর একটা সুপ্রভাব থাকে ।
সংবাদমাধ্যমের ব্যর্থতার দিকটাও মনে রাখা দরকার । নাগরিকদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে যে সব অন্যায় এবং অকুশলতা আছে, সংবাদমাধ্যমে সেগুলি যথেষ্ট গুরুত্ব পায় না । সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনযাত্রার সংকট এবং সমস্যাগুলি দূর করার কাজে একটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে, এ-রকম গভীর এবং উৎকৃষ্ট সাংবাদিকতার নমুনা কমই দেখা যায়; সংবাদমাধ্যম সাধারণত সমাজের সৌভাগ্যবান এবং সফল অংশের উজ্জ্বল ছবি দেখাতেই ব্যস্ত থাকে । কিছু প্রশংসনীয় ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু তা ব্যতিক্রমমাত্র ।"
"আয়বৃদ্ধির সামাজিক সুফল এখনও অত্যন্ত সীমিত । সমস্যাটা শুধু এই নয় যে, সাম্প্রতিক কালে আয়ের বৈষম্য রীতিমত বেড়েছে; চিনে যখন প্রকৃত মজুরি দ্রুত বেড়েছে এবং তার ফলে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানে রীতিমত উন্নতি হয়েছে, ভারতে তখন মজুরি কার্যত একই জায়গায় আটকে আছে । পাশাপাশি, আয়বৃদ্ধির ফলে সরকারি রাজস্ব বাড়লেও সেই বাড়তি সম্পদ সামাজিক এবং বস্তুগত পরিকাঠামোর উন্নয়নে যথেষ্ট কাজে লাগানো হয়নি, এ ব্যাপারেও চিনের তুলনায় ভারত অনেক পিছিয়ে ।শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পানীয় জল বা নিকাশী ব্যবস্থার মতো অপরিহার্য সামাজিক পরিষেবাগুলির সরবারহেও বিপুল ঘাটতি আছে, বহু মানুষ এখনও এই সব পরিষেবা থেকে সম্পূর্ণত বা বহুলাংশে বঞ্চিত ।"
"কুড়ি বছর আগে দক্ষিন এশিয়ার ছ'টি দেশের (ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান) মধ্যে সামাজিক সূচকগুলির তালিকায় ভারত সাধারণত দু'নম্বর জায়গাটিতে থাকত, এখন তার স্থান বেশিরভাগ ব্যাপারেই নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় - একমাত্র পাকিস্তানের ওপরে । ভারত মাথাপিছু আয়ের সিঁড়িটিতে ক্রমশ উপরে উঠছে, আর সামাজিক অর্জনের সিঁড়িটিতে ক্রমশ নীচে নামছে । "
"স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সেই সংগ্রামের নায়করা বলেছিলেন, স্বাধীন ভারতের লক্ষ্য হবে উন্নয়ন ও সমতা । সেই পরিপ্রেক্ষিতে, মানতেই হবে, স্বাধীন ভারতের ব্যর্থতা বিরাট । ব্যর্থতা শুধু এই নয় যে, আয়বৃদ্ধির সুফল বন্টনে বিরাট বৈষম্য ঘটেছে; উন্নয়নের ফলে অর্জিত সম্পদ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের বিপুল সামাজিক বঞ্চনা দূর করার কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রীতিমত ব্যর্থতা দেখা গেছে ।"
"স্বাধীনতার সময় ভারতে 'রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক গণতন্ত্র' প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছিল । কিছুটা অতিসরলিকরণের ঝুঁকি নিয়ে বলা যায়, দুটি ক্ষেত্রে ভারত এই লক্ষ্য পূরণে বিশেষ ভাবে ব্যর্থ : (১) যাঁরা সুবিধাভোগী, তাঁদের সঙ্গে অবশিষ্ট মানুষের অবস্থায় এখনও বিপুল বৈষম্য এবং (২) ভারতীয় অর্থনীতি ও সমাজ যে ভাবে সংগঠিত, তাতে দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা এখন অত্যন্ত কম ।"
"সাম্প্রতিক দশকগুলিতে, বিশেষত গত বছর দশেকে ভারতের দ্রুত আয়বৃদ্ধি নিয়ে সঙ্গত কারণেই একটা উচ্ছ্বাস তৈরী হয়েছে । 'মধ্যবিত্ত শ্রেণি'র (প্রচলিত অর্থে, আয়ের দিক থেকে উপরের দিকের কুড়ি শতাংশ মানুষ) জীবন-মানের যতটা উন্নতি হয়েছে, সেটা আগের দশকগুলিতে ভাবা যায়নি । কিন্তু অন্য অনেক ধরনের মানুষের - যেমন রিকশা-চালক, বাড়ির কাজের লোক বা ইটভাটার শ্রমিকের - ক্ষেত্রে গল্পটা অনেক জটিল । এ ধরনের বা এর চেয়েও কম সুবিধাভোগী মানুষের জীবনে আর্থিক সংস্কারের পর্বটিতে উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি । তাঁদের অবস্থায় কোনও উন্নতি হয়নি এমন নয়, কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে অত্যন্ত ধীরগতিতে এবং তার ফলে তাঁদের চরম দুর্দশা বিশেষ পাল্টায়নি ।"
"অশোক কোতোয়াল, ভরত রামস্বামী এবং ইউলিমা ওয়াধবা (২০১১) প্রণীত এক সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে এই বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে । ১৯৮৩ এবং ২০০৪-০৫, এই দুটি বছরের এনএসএস সমীক্ষার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তাঁরা এই গবেষণাটি করেছেন । তাঁদের হিসেবে, এই সময়ের মধ্যে গ্রাম প শহর মিলিয়ে দারিদ্রের মাথা-গুনতি অনুপাত ৪৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশ । তাঁরা দেখিয়েছেন, দারিদ্র রেখার অঙ্কটি যদি দ্বিগুন করা হয় (তারপরেও কিন্তু অঙ্কটি কমই থাকবে), তা হলে ১৯৮৩ সালে দারিদ্রের অনুপাত ছিল ৮৬ শতাংশ এবং ২০০৪-০৫ সালে ৮০ শতাংশ । কুড়ি বছরে এই উন্নতি অকিঞ্চিৎকর, বিশেষ করে দারিদ্র হ্রাসের সরকারি পরিসংখ্যানের তুলনায় । আরও সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে, গত দুই দশকে সামগ্রিকভাবে উন্নতশীল দেশগুলির তুলনায় ভারতে দারিদ্রের মাত্রা হ্রাসের গতি অনেক কম ছিল - ভারতে আয়বৃদ্ধির গতি উন্নতিশীল দুনিয়ার গড় আয়বৃদ্ধির চেয়ে অনেকটা বেশি হওয়া সত্ত্বেও ।"
No comments:
Post a Comment