পেটের জ্বালাই নানা অপরাধের আঁতুড়ঘর । তাই তো কোনও দেশ যত দেউলিয়া হতে থাকে, ততই গরিবি বাড়ে, ততই বাড়ে নানা অপরাধ ।
======================================================
মানুষ যৌনতার প্রতি আকর্ষণ ও যৌন অভিলাষ নিয়ে জন্মায় । সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের ছেলেমেয়েরা যৌনাঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া করে এক ধরণের আনন্দ পায় । এই আনন্দ অনির্দিষ্ট ।
কৈশোরের শুরুতে সমকামিতা প্রচ্ছন্ন বা প্রকাশ্য রূপ পায় । যৌনগ্রন্থি, যৌনাঙ্গ যতই পরিণতির দিকে এগোতে থাকে ততই বিপরীত লিঙ্গের মানুষটির কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চায় ।
তারপর আসে আত্মরতির পর্যায় । এই সময় কিশোর-কিশোরীদের (মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৩-১৪ বছর, ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬-১৭ বছর পর্যন্ত সময়) যৌনগ্রন্থি, অন্যান্য প্রয়োজনীয় অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যেমন পিটুইটারি ও অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিগুলি সক্রিয় হয় ।
মেয়েদের রজঃস্রাব ও ছেলেদের বীর্য তৈরি হয় । এই সময় বন্ধুদের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে আলোচনা, পর্নো বইয়ের প্রতি একটা স্বাভাবিক প্রবণতা আসে । বিচরণ করে এক অদ্ভুত স্বপ্নের জগতে । স্বপ্নের নায়ক-নায়িকা বা পরিচিত কোনও বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে মিলিত হচ্ছে ভেবে আত্মরতি করে । এর পরের পর্যায়ে আসে যৌন-মিলনের আনন্দকে উপভোগ করার পর্যায় ।
এই যে একটু একটু করে যৌন অভিলাষের দিকে এগোনো, এর প্রতিটি পর্যায়ই স্বাভাবিক ঘটনা । এই স্বাভাবিক প্রবৃত্তির গতিময়তা বাধা পেলে অস্বাভাবিক যৌন আচরণ গড়ে উঠতে পারে ।
আমাদের সমাজের রীতিনীতি ও চাপিয়ে দেওয়া মূল্যবোধ মানতে গিয়ে অনেক সময় আমরা যৌন অভিলাষকে খারাপ, নোংরা ব্যাপার বলে মনে করি । কিন্তু স্বাভাবিক প্রবৃত্তির তাড়নাকে এড়াতে পারি না । ফলে আমাদের ভন্ড হতে হয় । মুখে যৌনতার বিরুদ্ধে সরব হয়, সুযোগ পেলেই 'কাম' নামের সহজাত প্রবৃত্তির কাছে আত্মসমর্পণ করি ।
অজাচার মধ্যবিত্ত মানসিকতার নারী-পুরুষদের মধ্যেই সাধারণত দেখা যায় । উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানসিকতার নারী-পুরুষদের মধ্যে অজাচারের ঘটনা বিরল । 'লোকে কি বলবে' - ব্যাপারটাকে ওরা পাত্তা দিতে রাজি নয় । ওদের 'পেটে খিদে মুখে লাজ' নেই । দেহ-মিলনের সময় ওই দুই সমাজ-মানসিকতার নারী নিষ্ক্রিয় না থেকে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় । দেহশুচিতার ভণ্ডামি নেই ।
মধ্যবিত্তদের একটা প্রবণতা - দেহশুচিতার পক্ষে সাড়ম্বরে বলা । যৌন অভিলাষ একটি সহজাত প্রবৃত্তি হওয়া সত্ত্বেও মধ্যবিত্ত সমাজ বিষয়টিকে 'খারাপ', রেখে-ঢেকে রাখার বিষয় বলে চিহ্নিত করে দিয়েছে ।
যৌন অভিলাষ নিশ্চয়ই প্রকাশ্যে সংঘটিত হওয়ার বিষয় নয় । কিন্তু যৌন-শিক্ষা, ছেলে-মেয়েদের বন্ধুত্বপূর্ণ মেলামেশাকে খারাপ ভাবাটাই কুশিক্ষা ।
এমন বহু মানুষের মুখোমুখি অবিরত হই, যাঁরা গর্বের সঙ্গে বলেন, "আমার মেয়ে খুব ভালো । একটিও ছেলে বন্ধু নেই ।" যেন ছেলে বন্ধু না থাকাটাই মেয়েদের ভালো হওয়ার আবশ্যিক শর্ত । অনেক ছেলের মা-বাবাও এমন বোকা বোকা গর্ববোধ নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন । ...
... মানসিক কারণে শারীরিক অসুখে মধ্যবিত্ত নারীরাই বেশি ভোগেন । মধ্যবিত্ত বলতে আমি মধ্যবিত্ত মানসিকতার কথা বলছি । মা, মাসি, পিসি, দিদিমা, ঠাকুমারা মেয়েদের শিখিয়ে এসেছেন, লজ্জাই নারীর ভূষণ । স্বামীর কাছে মিলন প্রার্থনা করলে স্বামী চরিত্রহীনা ভাববে । মিলনকালে স্ত্রী সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেন স্বামী কামুকা ভাববে । মধ্যবিত্ত নারীদের মিলন-আনন্দ উপভোগের সুযোগ থাকে না । ফলে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই স্ত্রীর কাছে এই মিলন ভরণ-পোষণের বিনিময়ে স্বামীর কাছে নিজের দেহকে তুলে দেবার প্রচলিত প্রথা হয়ে দাঁড়ায় । দীর্ঘ যৌন অবদমনের ফলে মানসিক কারণে নানা ধরণের শারীরিক অসুখের প্রকাশ ঘটে । নিম্নবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানসিক অবস্থার নারীদের মধ্যে একটা বিষয়ে মিল আছে; তাঁরা পুরুষদের সঙ্গে মিলনের সময় পুরুষদের মতোই সক্রিয়ভাবে অংশ নেন । ফলে সাধারণভাবে তাঁরা যৌন অবদমনের কারণে দেহজনিত (psycho-somatic disorder) রোগে ভোগেন না ।
======================================================
======================================================
মানুষ যৌনতার প্রতি আকর্ষণ ও যৌন অভিলাষ নিয়ে জন্মায় । সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের ছেলেমেয়েরা যৌনাঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া করে এক ধরণের আনন্দ পায় । এই আনন্দ অনির্দিষ্ট ।
কৈশোরের শুরুতে সমকামিতা প্রচ্ছন্ন বা প্রকাশ্য রূপ পায় । যৌনগ্রন্থি, যৌনাঙ্গ যতই পরিণতির দিকে এগোতে থাকে ততই বিপরীত লিঙ্গের মানুষটির কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চায় ।
তারপর আসে আত্মরতির পর্যায় । এই সময় কিশোর-কিশোরীদের (মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৩-১৪ বছর, ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬-১৭ বছর পর্যন্ত সময়) যৌনগ্রন্থি, অন্যান্য প্রয়োজনীয় অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যেমন পিটুইটারি ও অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিগুলি সক্রিয় হয় ।
মেয়েদের রজঃস্রাব ও ছেলেদের বীর্য তৈরি হয় । এই সময় বন্ধুদের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে আলোচনা, পর্নো বইয়ের প্রতি একটা স্বাভাবিক প্রবণতা আসে । বিচরণ করে এক অদ্ভুত স্বপ্নের জগতে । স্বপ্নের নায়ক-নায়িকা বা পরিচিত কোনও বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে মিলিত হচ্ছে ভেবে আত্মরতি করে । এর পরের পর্যায়ে আসে যৌন-মিলনের আনন্দকে উপভোগ করার পর্যায় ।
এই যে একটু একটু করে যৌন অভিলাষের দিকে এগোনো, এর প্রতিটি পর্যায়ই স্বাভাবিক ঘটনা । এই স্বাভাবিক প্রবৃত্তির গতিময়তা বাধা পেলে অস্বাভাবিক যৌন আচরণ গড়ে উঠতে পারে ।
আমাদের সমাজের রীতিনীতি ও চাপিয়ে দেওয়া মূল্যবোধ মানতে গিয়ে অনেক সময় আমরা যৌন অভিলাষকে খারাপ, নোংরা ব্যাপার বলে মনে করি । কিন্তু স্বাভাবিক প্রবৃত্তির তাড়নাকে এড়াতে পারি না । ফলে আমাদের ভন্ড হতে হয় । মুখে যৌনতার বিরুদ্ধে সরব হয়, সুযোগ পেলেই 'কাম' নামের সহজাত প্রবৃত্তির কাছে আত্মসমর্পণ করি ।
অজাচার মধ্যবিত্ত মানসিকতার নারী-পুরুষদের মধ্যেই সাধারণত দেখা যায় । উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানসিকতার নারী-পুরুষদের মধ্যে অজাচারের ঘটনা বিরল । 'লোকে কি বলবে' - ব্যাপারটাকে ওরা পাত্তা দিতে রাজি নয় । ওদের 'পেটে খিদে মুখে লাজ' নেই । দেহ-মিলনের সময় ওই দুই সমাজ-মানসিকতার নারী নিষ্ক্রিয় না থেকে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় । দেহশুচিতার ভণ্ডামি নেই ।
মধ্যবিত্তদের একটা প্রবণতা - দেহশুচিতার পক্ষে সাড়ম্বরে বলা । যৌন অভিলাষ একটি সহজাত প্রবৃত্তি হওয়া সত্ত্বেও মধ্যবিত্ত সমাজ বিষয়টিকে 'খারাপ', রেখে-ঢেকে রাখার বিষয় বলে চিহ্নিত করে দিয়েছে ।
যৌন অভিলাষ নিশ্চয়ই প্রকাশ্যে সংঘটিত হওয়ার বিষয় নয় । কিন্তু যৌন-শিক্ষা, ছেলে-মেয়েদের বন্ধুত্বপূর্ণ মেলামেশাকে খারাপ ভাবাটাই কুশিক্ষা ।
এমন বহু মানুষের মুখোমুখি অবিরত হই, যাঁরা গর্বের সঙ্গে বলেন, "আমার মেয়ে খুব ভালো । একটিও ছেলে বন্ধু নেই ।" যেন ছেলে বন্ধু না থাকাটাই মেয়েদের ভালো হওয়ার আবশ্যিক শর্ত । অনেক ছেলের মা-বাবাও এমন বোকা বোকা গর্ববোধ নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন । ...
... মানসিক কারণে শারীরিক অসুখে মধ্যবিত্ত নারীরাই বেশি ভোগেন । মধ্যবিত্ত বলতে আমি মধ্যবিত্ত মানসিকতার কথা বলছি । মা, মাসি, পিসি, দিদিমা, ঠাকুমারা মেয়েদের শিখিয়ে এসেছেন, লজ্জাই নারীর ভূষণ । স্বামীর কাছে মিলন প্রার্থনা করলে স্বামী চরিত্রহীনা ভাববে । মিলনকালে স্ত্রী সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেন স্বামী কামুকা ভাববে । মধ্যবিত্ত নারীদের মিলন-আনন্দ উপভোগের সুযোগ থাকে না । ফলে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই স্ত্রীর কাছে এই মিলন ভরণ-পোষণের বিনিময়ে স্বামীর কাছে নিজের দেহকে তুলে দেবার প্রচলিত প্রথা হয়ে দাঁড়ায় । দীর্ঘ যৌন অবদমনের ফলে মানসিক কারণে নানা ধরণের শারীরিক অসুখের প্রকাশ ঘটে । নিম্নবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানসিক অবস্থার নারীদের মধ্যে একটা বিষয়ে মিল আছে; তাঁরা পুরুষদের সঙ্গে মিলনের সময় পুরুষদের মতোই সক্রিয়ভাবে অংশ নেন । ফলে সাধারণভাবে তাঁরা যৌন অবদমনের কারণে দেহজনিত (psycho-somatic disorder) রোগে ভোগেন না ।
======================================================
No comments:
Post a Comment