প্রসঙ্গ : ধর্ম
ভারতীয় ইতিহাসে, সামাজিক বিবর্তনে ধর্মের গুরুত্ব রয়েছে । সেই কারণেই ধর্মের স্বরূপ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা যেতে পারে । কিন্তু আদিম মানুষ থেকে ক্রমবিবর্তন হতে হতে আজকের মানুষের মধ্যে লক্ষ লক্ষ বছর পার হয়ে গেছে । মানুষ যখন আদিম গুহার যুগে বাস করত - তখন দল বেঁধে থাকত, গাছের ফল-মূল খেত, পশুপাখির কাঁচা মাংস খেত । তখন প্রকৃতি বনজঙ্গলে ঘেরা ছিল । নদী, সাগর তো ছিলই, ঝড়, বৃষ্টি হত, জঙ্গলে দাবানল হত, বাজ পড়ে পুড়ে যেত গাছ । বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে যেত, ধস নামত পাহাড়ে । তখন সে অসহায় বোধ করত । কেন ঝড় হয়, কেন বৃষ্টি হয়, কেন বন্যা হয়, কেন ভূমিকম্প হয়, কেন দাবানল জ্বলে জঙ্গলে - এই সম্পর্কে মানুষের কোনো নির্দিষ্ট যুক্তিসঙ্গত ধারণা ছিল না । তখন মানুষ এইসব প্রাকৃতিক ঘটনাকে অতিপ্রাকৃত বলে ভয় পেত । মানুষ এইসব প্রাকৃতিক ঘটনার পিছনে যে কার্যকারণ আছে তা বুঝতে পারত না । তারা মনে করত কোনও শক্তি এর জন্য দায়ী । এই শক্তিই কালক্রমে দেবত্ব পায় । যেমন বাতাসের দেবতা, বৃষ্টির দেবতা, আগুনের দেবতা, জঙ্গলের দেবী বা দেবতা । মানুষ মনে করত ঐ দেবতাদের তুষ্ট করতে পারলেই প্রকৃতির আক্রমণ থেকে তারা রক্ষা পাবে । মার্কস একে বলেছেন, ওলটানো জগৎ চেতনা । পৃথিবীকে সোজাসুজি কারণ-সহ না বুঝতে পারা । ঘটনাকেই বড় করে দেখা । শুকনো কাঠে কাঠ ঘষে দাবানল হয় । ওরা মনে করত বাইরের কোনও অতিপ্রাকৃত শক্তি দাবানল তৈরি করেছে । এটাই হল জগৎকে উল্টো করে দেখা । এই বিপরীত চিন্তা এবং অসহায়তা থেকেই ধর্মের জন্ম । এটা হচ্ছে ধর্ম সম্পর্কে সাধারণ ধারণা ।
লক্ষ লক্ষ বছর আগে হিন্দু, ইসলাম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্ম ছিল না । গত দু'তিন হাজার বছরে এইসব ধর্মমত তৈরি করল মানুষ । মার্কস বলেছিলেন, যে মানুষ নিজের মুক্তির পথ খুঁজে পায়নি বা নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে ধর্ম হল তার আত্মচেতনা । ধর্ম হল বাস্তব জগতের যে কষ্ট সে ভোগ করছে তার বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ । এর মানে হল মানুষের নিজের শক্তি সম্পর্কে আস্থা নেই অথবা সত্যি সত্যিই শক্তি নেই । মানুষ তো এসবের প্রতিকার করতে পারছে না । তা হলে আস্থা থাকবে কি করে ? যদিও এখন বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে তার শক্তির উপর আস্থা বাড়ার অনেক কারণ হয়েছে । কিন্তু শক্তি যতটা বেড়েছে সেই পরিমাণে আস্থা বাড়েনি । এই জন্য ধর্ম হল অসহায় নিপীড়িত মানুষের আশ্রয় । ধর্ম হল নিপীড়িত মানুষের দীর্ঘশ্বাস । ধর্ম হল হৃদয়হীন জগতের হৃদয় । কার্ল মার্কস এসব বলে বলেছেন যে, প্রতিকারের পথ না পেয়ে মানুষ ধর্মের মধ্যেই তার পরিত্রানের উপায় খোঁজে ।
তিনি বলেছেন যে, মানুষ তখন যেন আফিমের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে । মানুষ নিজের যন্ত্রনা, কষ্ট, দারিদ্র থেকে মুক্তি পাবার কোনও পথই যখন দেখতে পায় না - তখন ভগবানই তার একমাত্র আশ্রয় । ঈশ্বরের কাছে সে নিরাপত্তা খোঁজে । অসহায়তা থেকেই তার আত্মসমর্পণ । ঈশ্বরের কাছেই সে প্রতিকার চায়, মাথা ঠোকে, দীর্ঘশ্বাস আর চোখের জল ফেলে । মানুষ যে দুঃখ, কষ্ট সহ্য করছে তার মধ্যে যে অসহায়তা বোধ তৈরি হয়েছে তার প্রকাশ পাচ্ছে ধর্মকে আশ্রয় করার মধ্য দিয়ে । এটাই তার মনের যন্ত্রণার প্রকাশ । আবার সে এটা মেনেও নিচ্ছে না । সে তার ধর্মীয় আবেদনের মধ্যে দিয়ে বলছে, এটা তুমি বদলে দাও । এটা আবার তার প্রতিবাদও । কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা আলাদা, ভঙ্গি আলাদা । নেশার বস্তুর মতো, তাই মার্কস তাকে বলছেন আফিম ।
মার্কস বলতেন যে যারা সারা জীবন খাটে আর অভাবে নিমজ্জিত থাকে ধর্ম তাকে এ জীবনে তার অবস্থা মেনে নিতে পরামর্শ দেয় - যাতে সে প্রতিবাদ করতে না পারে সেই শিক্ষা দেয় - যাতে সে প্রতিবাদ করতে না পারে সেই শিক্ষা দেয় । তাদের স্বর্গীয় পুরস্কারের সান্ত্বনা দেয় বা পরের জন্মে পরলোক বা স্বর্গে গিয়ে ভালো থাকবে - সেই সান্ত্বনা দেয় । কিন্তু আবার যারা অন্যের শ্রম শোষণ করে তাদের পার্থিব জীবনে বদান্যতা অনুশীলনের নির্দেশ দেয় ।
প্রাচীন ভারতেও ধর্ম ব্যবহৃত হয়েছে শ্রেণী ও শক্তিশালীর শাসন রক্ষায় । ধর্মকে কেন্দ্রে রেখে রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই ধর্মীয় অনুশাসনের বেশে নিম্নবর্গকে বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করার বিধি রচিত হয়েছে । তা জ্ঞানের বিকাশকেও ব্যাহত করেছে । প্রাচীন ভারতে শল্য চিকিৎসা হতো । কিন্তু ব্রাহ্মণেরা এই চিকিৎসা শাস্ত্রকে এগোতে দিল না । বিজ্ঞানকে এগোতে দিল না । বস্তুবাদী বা লোকায়ত দর্শনের যেসব ধারায় বলা হত এ জগতে যা কিছু ভাল তাতে মানুষের অধিকার আছে তাকে ভোগ করতে দিতে হবে, সে অর্জন করুক, সব মানুষই সমান, তাদেরকে একঘরে করা হল । তাদের বইপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হল । ফলে ভারতবর্ষের জ্ঞান ভান্ডার যথেষ্ট এগোতে পারল না ।
=============================================================
বুদ্ধদেবের মতাদর্শে একটা অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব ছিল । তিনি হিন্দু সমাজের চতুর্বর্ণ প্রথার বিরোধিতা করেননি বরং তাকে স্বীকারই করেছিলেন । আবার তিনিই সমাজের বর্ণভেদ ভিত্তিক সামাজিক অসাম্যকে স্বীকার করেননি ।
=============================================================
ভারতীয় ইতিহাসে, সামাজিক বিবর্তনে ধর্মের গুরুত্ব রয়েছে । সেই কারণেই ধর্মের স্বরূপ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা যেতে পারে । কিন্তু আদিম মানুষ থেকে ক্রমবিবর্তন হতে হতে আজকের মানুষের মধ্যে লক্ষ লক্ষ বছর পার হয়ে গেছে । মানুষ যখন আদিম গুহার যুগে বাস করত - তখন দল বেঁধে থাকত, গাছের ফল-মূল খেত, পশুপাখির কাঁচা মাংস খেত । তখন প্রকৃতি বনজঙ্গলে ঘেরা ছিল । নদী, সাগর তো ছিলই, ঝড়, বৃষ্টি হত, জঙ্গলে দাবানল হত, বাজ পড়ে পুড়ে যেত গাছ । বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে যেত, ধস নামত পাহাড়ে । তখন সে অসহায় বোধ করত । কেন ঝড় হয়, কেন বৃষ্টি হয়, কেন বন্যা হয়, কেন ভূমিকম্প হয়, কেন দাবানল জ্বলে জঙ্গলে - এই সম্পর্কে মানুষের কোনো নির্দিষ্ট যুক্তিসঙ্গত ধারণা ছিল না । তখন মানুষ এইসব প্রাকৃতিক ঘটনাকে অতিপ্রাকৃত বলে ভয় পেত । মানুষ এইসব প্রাকৃতিক ঘটনার পিছনে যে কার্যকারণ আছে তা বুঝতে পারত না । তারা মনে করত কোনও শক্তি এর জন্য দায়ী । এই শক্তিই কালক্রমে দেবত্ব পায় । যেমন বাতাসের দেবতা, বৃষ্টির দেবতা, আগুনের দেবতা, জঙ্গলের দেবী বা দেবতা । মানুষ মনে করত ঐ দেবতাদের তুষ্ট করতে পারলেই প্রকৃতির আক্রমণ থেকে তারা রক্ষা পাবে । মার্কস একে বলেছেন, ওলটানো জগৎ চেতনা । পৃথিবীকে সোজাসুজি কারণ-সহ না বুঝতে পারা । ঘটনাকেই বড় করে দেখা । শুকনো কাঠে কাঠ ঘষে দাবানল হয় । ওরা মনে করত বাইরের কোনও অতিপ্রাকৃত শক্তি দাবানল তৈরি করেছে । এটাই হল জগৎকে উল্টো করে দেখা । এই বিপরীত চিন্তা এবং অসহায়তা থেকেই ধর্মের জন্ম । এটা হচ্ছে ধর্ম সম্পর্কে সাধারণ ধারণা ।
লক্ষ লক্ষ বছর আগে হিন্দু, ইসলাম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্ম ছিল না । গত দু'তিন হাজার বছরে এইসব ধর্মমত তৈরি করল মানুষ । মার্কস বলেছিলেন, যে মানুষ নিজের মুক্তির পথ খুঁজে পায়নি বা নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে ধর্ম হল তার আত্মচেতনা । ধর্ম হল বাস্তব জগতের যে কষ্ট সে ভোগ করছে তার বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ । এর মানে হল মানুষের নিজের শক্তি সম্পর্কে আস্থা নেই অথবা সত্যি সত্যিই শক্তি নেই । মানুষ তো এসবের প্রতিকার করতে পারছে না । তা হলে আস্থা থাকবে কি করে ? যদিও এখন বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে তার শক্তির উপর আস্থা বাড়ার অনেক কারণ হয়েছে । কিন্তু শক্তি যতটা বেড়েছে সেই পরিমাণে আস্থা বাড়েনি । এই জন্য ধর্ম হল অসহায় নিপীড়িত মানুষের আশ্রয় । ধর্ম হল নিপীড়িত মানুষের দীর্ঘশ্বাস । ধর্ম হল হৃদয়হীন জগতের হৃদয় । কার্ল মার্কস এসব বলে বলেছেন যে, প্রতিকারের পথ না পেয়ে মানুষ ধর্মের মধ্যেই তার পরিত্রানের উপায় খোঁজে ।
তিনি বলেছেন যে, মানুষ তখন যেন আফিমের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে । মানুষ নিজের যন্ত্রনা, কষ্ট, দারিদ্র থেকে মুক্তি পাবার কোনও পথই যখন দেখতে পায় না - তখন ভগবানই তার একমাত্র আশ্রয় । ঈশ্বরের কাছে সে নিরাপত্তা খোঁজে । অসহায়তা থেকেই তার আত্মসমর্পণ । ঈশ্বরের কাছেই সে প্রতিকার চায়, মাথা ঠোকে, দীর্ঘশ্বাস আর চোখের জল ফেলে । মানুষ যে দুঃখ, কষ্ট সহ্য করছে তার মধ্যে যে অসহায়তা বোধ তৈরি হয়েছে তার প্রকাশ পাচ্ছে ধর্মকে আশ্রয় করার মধ্য দিয়ে । এটাই তার মনের যন্ত্রণার প্রকাশ । আবার সে এটা মেনেও নিচ্ছে না । সে তার ধর্মীয় আবেদনের মধ্যে দিয়ে বলছে, এটা তুমি বদলে দাও । এটা আবার তার প্রতিবাদও । কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা আলাদা, ভঙ্গি আলাদা । নেশার বস্তুর মতো, তাই মার্কস তাকে বলছেন আফিম ।
মার্কস বলতেন যে যারা সারা জীবন খাটে আর অভাবে নিমজ্জিত থাকে ধর্ম তাকে এ জীবনে তার অবস্থা মেনে নিতে পরামর্শ দেয় - যাতে সে প্রতিবাদ করতে না পারে সেই শিক্ষা দেয় - যাতে সে প্রতিবাদ করতে না পারে সেই শিক্ষা দেয় । তাদের স্বর্গীয় পুরস্কারের সান্ত্বনা দেয় বা পরের জন্মে পরলোক বা স্বর্গে গিয়ে ভালো থাকবে - সেই সান্ত্বনা দেয় । কিন্তু আবার যারা অন্যের শ্রম শোষণ করে তাদের পার্থিব জীবনে বদান্যতা অনুশীলনের নির্দেশ দেয় ।
প্রাচীন ভারতেও ধর্ম ব্যবহৃত হয়েছে শ্রেণী ও শক্তিশালীর শাসন রক্ষায় । ধর্মকে কেন্দ্রে রেখে রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই ধর্মীয় অনুশাসনের বেশে নিম্নবর্গকে বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করার বিধি রচিত হয়েছে । তা জ্ঞানের বিকাশকেও ব্যাহত করেছে । প্রাচীন ভারতে শল্য চিকিৎসা হতো । কিন্তু ব্রাহ্মণেরা এই চিকিৎসা শাস্ত্রকে এগোতে দিল না । বিজ্ঞানকে এগোতে দিল না । বস্তুবাদী বা লোকায়ত দর্শনের যেসব ধারায় বলা হত এ জগতে যা কিছু ভাল তাতে মানুষের অধিকার আছে তাকে ভোগ করতে দিতে হবে, সে অর্জন করুক, সব মানুষই সমান, তাদেরকে একঘরে করা হল । তাদের বইপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হল । ফলে ভারতবর্ষের জ্ঞান ভান্ডার যথেষ্ট এগোতে পারল না ।
=============================================================
বুদ্ধদেবের মতাদর্শে একটা অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব ছিল । তিনি হিন্দু সমাজের চতুর্বর্ণ প্রথার বিরোধিতা করেননি বরং তাকে স্বীকারই করেছিলেন । আবার তিনিই সমাজের বর্ণভেদ ভিত্তিক সামাজিক অসাম্যকে স্বীকার করেননি ।
=============================================================
ইদানিং হিন্দুত্ববাদীরা দাবি করছেন ভারতবর্ষ একটি রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠেছিল প্রাচীন যুগে, যাকে তারা হিন্দু যুগ আখ্যা দিয়েছেন । অথচ আধুনিক গবেষকরা প্রমাণ করেছেন যে হিন্দু শব্দ ও সংজ্ঞার প্রচলনই ঘটে মধ্য যুগে । ইরানীয় হ্-র যোগ 'ইন্দো'র সঙ্গে । এর সঙ্গে পারসিক স্তান যোগ করে নামকরণ করা হয় হিন্দুস্তান - যার মানে হিন্দুদের বাস । হিন্দুস্তান - বা হিন্দু ধর্মের উপাসকদের দেশ এই ব্যাখ্যা সম্পূর্ণই হিন্দুত্ববাদীদের নির্মাণ ।
সমকালীন সূত্রে এই দুই ব্যাখ্যার তারতম্য বোঝা যায় । রাণা কুম্ভকে ১৪৩৮-৩৯ সালে জৈন লিপিতে উল্লেখ করা হচ্ছে হিন্দু সুররত্ন - বা হিন্দু সুলতান নামে । তারও আগে আমীর খুসরু ১৩২৪ সালে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন হিন্দুস্তানী তুর্কী ।
=============================================================
স্বাধীন ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতা এতটা শিকড় গাড়তে পেরেছে তার অন্যতম প্রধান কারণ ধর্ম ও রাষ্ট্রের পরিধির নির্দিষ্ট পৃথকীকরণ করা হয়নি । যখনই দেশে ধর্মীয় মৌলবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, তখন সর্বদাই আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক আক্রমণের মুখে বলিষ্ঠ নীতি প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে ।
যেমন বর্তমান অযোধ্যা সঙ্কট এক অর্থে এই ব্যর্থতার ফল । বিতর্কিত সৌধের দ্বার উন্মুক্ত করা, রামমন্দিরের শিলান্যাসের অনুমতি, ভারতীয় সংহতি পরিষদে করসেবকদের শক্ত হাতে মোকাবিলার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করা, সাধু-সন্ত ও সেইসব গোষ্ঠী যারা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে থাকার মতো দুঃসাহসী বলে ঘোষণা করে, তাদের সাথে অপ্রয়োজনীয় পরামর্শ - সবই রাষ্ট্রের মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দৃঢ় হাতে মোকাবিলার অসমর্থতার প্রকাশ । তার ফলে দেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক দলগুলির প্রভাব বৃদ্ধি পায় ।
=============================================================
সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িকতা সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়িকতার থেকে অনেক বেশি বিপজ্জনক, কারণ সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িকতা রূপান্তরিত হয় ধর্মীয় ফ্যাসিবাদে ।
=============================================================