"স্বাধীন দেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে পশ্চিমবাংলায় সার্বিক বন্দিমুক্তির (General Amnesty) এই কৃতিত্ব বামপন্থীদেরই ।"
"....নতুন পঞ্চায়েতের কঠিন প্রচেষ্টার অন্যতম রূপকার সত্যব্রত সেন মন্তব্য করেছিলেন --- 'এমন ধারালো অস্ত্র হবে এটি যে ঠিকমত ধরতে না পারলে নিজেদের হাতই কেটে যাবে ।'"
"দক্ষিনপন্থী ও ফ্যাসিবাদের হাতে সংস্কৃতির ও লেখক শিল্পীদের অবমাননা, অত্যাচার, হত্যা --- ইতিহাসে সুপরিচিত । অন্যদিকে দেশ-বিদেশের ইতিহাসে সংস্কৃতির জগতে বামপন্থীদের বিপুল সাফল্য যেমন আমাদের গর্ববোধ, তেমনি হঠকারিতার অসাফল্য ও নির্বুদ্ধিতায় আমরা কম ম্রিয়মান নই ।
সোভিয়েত ইউনিয়নে সাহিত্যে 'সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার' ফতোয়া জারি কি সঠিক ছিল ? কেন ডস্টয়েভস্কি কোনো দিনও প্রাপ্য সন্মান পেলেন না, পাস্টেরন্যাক নির্বাসিত হলেন নিজ স্বদেশভূমিতে ?
বলশয় থিয়েটারের মতন অনেক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাফল্যের পাশাপাশি এই দুর্বুদ্ধি কেন ? শক্তিধর সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা তখন কেন কীভাবে ভীত সন্ত্রস্ত রুগণ হয়ে পড়ল ?
চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের দীর্ঘসময় দাঙ্গা-হাঙ্গামা নৈরাজ্যের মধ্যে 'রেড ল্যানটার্ন'-সহ তিনটি অপেরা ছাড়া আর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সব কিছুই বাতিল হলো । এটা কোন শুভবুদ্ধির প্রকাশ ?"
"বৃহৎ বাজারি সংবাদপত্রের মালিকপক্ষ স্বাভাবিক কারণেই তা সত্ত্বেও কোনোদিনও বামফ্রন্ট সরকারের রাজনৈতিক দর্শনকে সমর্থন করে না । ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা হয়েছে আমাদের হেয় ও অপদস্থ করার । সংবাদপত্রের সমালোচনা অধিকার আমরা কখনোই বিরোধিতা করিনি, শুধু আশা করেছি ন্যায়সংগত ও যুক্তিসংগত ব্যবহার । এটা ঠিক, তাদের পরামর্শে আমরা চলিনি, কারণ আমাদের মৌলিক আনুগত্য ছিল সাধারণ মানুষের কাছে ।"
"বহুত্ববাদকে মেনে নিয়ে শত পুষ্প বিকশিত হোক এই ছিল আমাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মূল দর্শন । আমরা কোনো ফতোয়া জারি করিনি । কারণ আন্তরিকভাবেই বিশ্বাস করেছি - শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে ?"
"এই সময়কালে ত্রিস্তর নির্বাচনের মাধ্যমে পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠা, ভূমি সংস্কার ও গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচি নতুন মাত্র যোগ করে । পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ভূমি বন্টনের স্থায়ী কমিটি একটি বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করেছে । যেমন করেছে বর্গা রেকর্ডের কর্মসূচি ।
শিক্ষায়তনে গণ-টোকাটুকি একটি সামাজিক ব্যাধির জন্ম হয়েছিল কংগ্রেস আমলে, তাকে পরাস্ত করা সম্ভব হয় এই সময়ে । বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষাকে দু-কিস্তিতে অবৈতনিক ঘোষণা ও রূপায়িত হয় । শুধু ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক নয়, সামাজিক আলোড়ন সৃষ্টি করে এই সিদ্ধান্ত । প্রাথমিক স্তরে বাংলা ভাষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয় পঠন-পাঠনের মাধ্যম হিসেবে । যে নীতি বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীকালে সংশোধিত হয় ।
রাজ্যে ট্রেড ইউনিয়ন ও সামাজিক অধিকার সর্বত্র স্বীকৃত হয় ।জনজীবনের সর্বত্র গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয় । সংস্কৃতি জগতে স্বাধীন শিল্পচর্চার খোলামেলা পরিবেশ তৈরি হয় । কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সম্পর্কে নতুন দাবিসনদ তৈরি করে ও জাতীয় স্তরে তাকে আলোচ্য বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় ।"
"....নতুন পঞ্চায়েতের কঠিন প্রচেষ্টার অন্যতম রূপকার সত্যব্রত সেন মন্তব্য করেছিলেন --- 'এমন ধারালো অস্ত্র হবে এটি যে ঠিকমত ধরতে না পারলে নিজেদের হাতই কেটে যাবে ।'"
"দক্ষিনপন্থী ও ফ্যাসিবাদের হাতে সংস্কৃতির ও লেখক শিল্পীদের অবমাননা, অত্যাচার, হত্যা --- ইতিহাসে সুপরিচিত । অন্যদিকে দেশ-বিদেশের ইতিহাসে সংস্কৃতির জগতে বামপন্থীদের বিপুল সাফল্য যেমন আমাদের গর্ববোধ, তেমনি হঠকারিতার অসাফল্য ও নির্বুদ্ধিতায় আমরা কম ম্রিয়মান নই ।
সোভিয়েত ইউনিয়নে সাহিত্যে 'সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার' ফতোয়া জারি কি সঠিক ছিল ? কেন ডস্টয়েভস্কি কোনো দিনও প্রাপ্য সন্মান পেলেন না, পাস্টেরন্যাক নির্বাসিত হলেন নিজ স্বদেশভূমিতে ?
বলশয় থিয়েটারের মতন অনেক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাফল্যের পাশাপাশি এই দুর্বুদ্ধি কেন ? শক্তিধর সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা তখন কেন কীভাবে ভীত সন্ত্রস্ত রুগণ হয়ে পড়ল ?
চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের দীর্ঘসময় দাঙ্গা-হাঙ্গামা নৈরাজ্যের মধ্যে 'রেড ল্যানটার্ন'-সহ তিনটি অপেরা ছাড়া আর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সব কিছুই বাতিল হলো । এটা কোন শুভবুদ্ধির প্রকাশ ?"
"বৃহৎ বাজারি সংবাদপত্রের মালিকপক্ষ স্বাভাবিক কারণেই তা সত্ত্বেও কোনোদিনও বামফ্রন্ট সরকারের রাজনৈতিক দর্শনকে সমর্থন করে না । ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা হয়েছে আমাদের হেয় ও অপদস্থ করার । সংবাদপত্রের সমালোচনা অধিকার আমরা কখনোই বিরোধিতা করিনি, শুধু আশা করেছি ন্যায়সংগত ও যুক্তিসংগত ব্যবহার । এটা ঠিক, তাদের পরামর্শে আমরা চলিনি, কারণ আমাদের মৌলিক আনুগত্য ছিল সাধারণ মানুষের কাছে ।"
"বহুত্ববাদকে মেনে নিয়ে শত পুষ্প বিকশিত হোক এই ছিল আমাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মূল দর্শন । আমরা কোনো ফতোয়া জারি করিনি । কারণ আন্তরিকভাবেই বিশ্বাস করেছি - শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে ?"
"এই সময়কালে ত্রিস্তর নির্বাচনের মাধ্যমে পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠা, ভূমি সংস্কার ও গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচি নতুন মাত্র যোগ করে । পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ভূমি বন্টনের স্থায়ী কমিটি একটি বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করেছে । যেমন করেছে বর্গা রেকর্ডের কর্মসূচি ।
শিক্ষায়তনে গণ-টোকাটুকি একটি সামাজিক ব্যাধির জন্ম হয়েছিল কংগ্রেস আমলে, তাকে পরাস্ত করা সম্ভব হয় এই সময়ে । বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষাকে দু-কিস্তিতে অবৈতনিক ঘোষণা ও রূপায়িত হয় । শুধু ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক নয়, সামাজিক আলোড়ন সৃষ্টি করে এই সিদ্ধান্ত । প্রাথমিক স্তরে বাংলা ভাষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয় পঠন-পাঠনের মাধ্যম হিসেবে । যে নীতি বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীকালে সংশোধিত হয় ।
রাজ্যে ট্রেড ইউনিয়ন ও সামাজিক অধিকার সর্বত্র স্বীকৃত হয় ।জনজীবনের সর্বত্র গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয় । সংস্কৃতি জগতে স্বাধীন শিল্পচর্চার খোলামেলা পরিবেশ তৈরি হয় । কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সম্পর্কে নতুন দাবিসনদ তৈরি করে ও জাতীয় স্তরে তাকে আলোচ্য বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় ।"