Friday, 20 November 2015

বইপড়া

মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে চোখ রেখে পড়তে পারি না - তবে সকালের খবরের কাগজটা কম্পিউটারে পড়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না । আমাদের মাস্টারমশাইরা বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে উৎসাহ দিতেন - বইয়ের নিচে লুকিয়ে রেখে অনেক বই পড়েছি । এখন বই পড়ার সময় কমেছে - তবে দৈনন্দিন রুটিন থেকে বই পড়াকে কখনই বাদ দিইনি । বই পড়তে ভালোবাসি - তবে আগে যেভাবে অনেকধরনের বই পড়তাম - এখন সেই সুযোগটা কমেছে । কলেজ জীবনে কলেজ স্ট্রিট ছিলো একটি অবিছেদ্য অঙ্গ - এখন সেটা হয়না । এখনও কলকাতাতে ফিরলে, পাড়ার দোকানে বলে দরকারি বইগুলো আনিয়ে নিই । তবে আগের অবসর আর এখনকার অবসর সময় কাটানোর সংজ্ঞা বদলেছে - আগে দেখতাম অনেক বাড়িতেই নূন্যতম একটা করে মাসিক পত্রিকা, বাড়ির বেশিরভাগ সদস্যই সময় সুযোগে নিজের ইচ্ছেমত বইটা উল্টে পাল্টে দেখা, খুব অসুবিধা থাকলে আশেপাশের বাড়ি থেকে বই সংগ্রহ করে পড়া, লাইব্রেরিতে বসে সময় কাটানো - আজ এগুলোর জায়গা নিয়েছে ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ । এগুলোই সব সমস্যার মূল - এরকম বলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না । তবে এটা স্বীকার করতে দোষ নেই যে যুবসমাজকে "পরিকল্পিতভাবে" বইয়ের জগত থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে । বই পড়ার গতি কমেছে তবে এখনও চলছে, আশা করি চলতেই থাকবে ।

- ধীমান